নারী ও মেয়েদের প্রতি সহিংসতার বিরুদ্ধে ২৫শে নভেম্বর থেকে ১০ই ডিসেম্বর “সিক্সটিন ডেইজ অব অ্যাক্টিভিজম’ নামে বিশ্বজুড়ে ব্যক্তি এবং বিভিন্ন সংস্থার উদ্যোগে নানাবিধ কর্মসূচি নেওয়া হয়। যে কর্মসূচির এবারের প্রতিপাদ্য, “UNITE ! Activism to End Violence Against Women and Girls.” ইউএনডিপি টেকসই সমাধান হিসাবে যৌন হয়রানি এবং প্রয়োজনীয় নীতি সংস্কার সহ জেন্ডার-ভিত্তিক সহিংসতা দূর করার জন্য জাতিসংঘ উন্নয়ন সংস্থা, বাংলাদেশ (ইউএনডিপি) ‘সিক্সটিন ডেইজ অব এক্টিভিজম’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে “Advancing Youth Activism to Address Gender Based Violence: Taking Youth from the WSPP Campaign.” নামে একটি কর্মসূচি পালন করেছে।সিক্সটিন ডেইজ অব এক্টিভিজম’ এর কর্মসূচির অংশ হিসেবে ইউএনডিপির নেওয়া ‘সিক্সটিন ডেইজ অব এক্টিভিজম’ এর কর্মসূচির অংশ হিসেবে নেওয়া উক্ত ক্যাম্পেইন নড়াইলে বাস্তবায়ন করেছে নড়াইল ভলান্টিয়ার্স।আজ (৮ই ডিসেম্বর) সকাল ৯.৩০ টায় চিত্রা রিসোর্ট, নড়াইলের কনফারেন্স হলে অনুষ্ঠিত হয়। নারী ও শিশুসহ সকল জেন্ডারভিত্তিক সহিংসতা প্রতিরোধে তরুণদের নিয়ে আয়োজিত অনুষ্ঠানে জেন্ডার, জেন্ডার ভিত্তিক সহিংসতা নিয়ে সেশন নেন জেন্ডার এক্সপার্ট সাবিনা পারভীন। আনসার ও ভিডিপির জেলা কমান্ড্যাট জনাব বিকাশ চন্দ্র দাস অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে জেন্ডার ভিত্তিক সহিংসতা রোধে সকল প্রকার স্টেকহোল্ডারগণের ভূমিকা তুলে ধরেন। সাইবার টিনস ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা সাদাত রহমান বলেন, “তরুণ প্রজন্ম সচেতনতা বৃদ্ধিতে কাজ করলে সবাইকে নিয়ে একটি সুন্দর সমাজ গঠন সম্ভব হবে এবং সবাই যদি নিজ নিজ জায়গা থেকে সোচ্চার হোন তাহলে নড়াইল তথা সমগ্র বাংলাদেশ সহিংসতা মুক্ত হবে। এবং নড়াইল সদর থানার উপ-পরিদর্শক (তদন্ত) জনাব নাসির উদ্দিন তার বক্তব্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দায়িত্ব সম্পর্কে বিস্তর আলোচনা করেন এবং যেকোনো পরিস্থিতিতে তারা নারীর প্রতি সহিংসতা বন্ধে সজাগ দৃষ্টি রাখার অঙ্গিকারবদ্ধ হন। অনুষ্ঠানে পারিপার্শ্বিক বিভিন্ন পরিস্থিতি এবং সাইবারস্পেস এ নারী ও শিশুসহ সকল জেন্ডারভিত্তিক সহিংসতা থেকে নিজেদের সুরক্ষিত ও নিরাপদ রাখার বিষয়ে সচেতনতা তৈরিতে কৌশলগত নির্দেশনা প্রদানে একটি সেশন পরিচালনা করা হয়। এসময় অন্যান্যদের মধ্যে বিভিন্ন সমাজসেবামূলক সংস্থার সদস্যসহ বিভিন্ন পেশার ব্যাক্তিত্য উপস্থিত ছিলেন।
নারী সহিংসতা রোধে আছে আইন, বিভিন্ন ধরনের আন্তর্জাতিক চুক্তি। কিন্তু এসবের তেমন কোনো বাস্তবায়ন নেই,থাকলেও এসব আইন সম্পর্কে সাধারণ মানুষও তেমন সচেতন নয়। নারী নির্যাতন প্রতিরোধে তাই প্রয়োজন দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন। সহিংসতা রোধে প্রচলিত আইনের প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে। এক্ষেত্রে পরিবার ও সমাজকে এগিয়ে আসতে হবে। পাশাপাশি নারীদেরও সোচ্চার হতে হবে। কথা বলতে হবে নিজ অধিকার আদায়ে।