১৩ থেকে ১৯ বছর বয়সী কিশোর-কিশোরীদের প্রতি সাইবার বুলিং ও অনলাইন হ্যারাজমেন্ট প্রতিরোধে কাজ করছে সাইবার টিনস ফাউন্ডেশন ।
সাইবার বুলিং এর শিকার হওয়া কিশোর কিশোরীরা মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে এবং কখনো কখনো আত্মহত্যারও চেষ্টা করে। যে সময়টাতে কিশোর কিশোরীরা সমাজে তাদের অবস্থান খুজে পায়, নিজেকে বিকশিত করতে শুরু করে, সেই সময়ে সাইবার বুলিংয়ের শিকার হওয়ার ফলে, প্রথমেই আঘাত লাগে তাদের আত্মবিশ্বাসে। তারা একাকীত্ব এবং আতংকিত বোধ করে। অনেকসময় তারা মনে করে, তাদের আর কোথাও যাওয়ার জায়গা নেই। সেই ভাবনা থেকেই ধীরে ধীরে নিজেদের গুটিয়ে নিতে চায়, পাশাপাশি অবসাদ ও উৎকণ্ঠায় ভুগতে থাকে। অনেকে আত্মহননের চিন্তাও করে৷
এই অবস্থায় সাইবার বুলিং বা হ্যারাজমেন্ট এর শিকার হওয়া কিশোর-কিশোরীদের মানসিকভাবে প্রাথমিক সহযোগিতা প্রদানের উদ্দেশ্যে গঠন করা হয়েছে সাইবার টিনস মেন্টাল হেলথ সাপোর্ট টিম। বর্তমানে সাইবার টিনস মেন্টাল হেলথ সাপোর্ট টিমে স্বেচ্ছাসেবক সংগ্রহের আবেদন চলছে৷ যেখানে আবেদনের সর্বশেষ সময়: ৩১শে ডিসেম্বর ২০২২। আপনিও মেন্টাল হেলথ সাপোর্ট টিমে যোগ দেওয়ার আবেদন করতে পারেন এখানে ক্লিক করে।
- সাপ্তাহিক নূন্যতম ২০ ঘন্টা সময় দিতে হবে।
- প্রয়োজনে সাইবার টিনস অফিসে এসে কাজ করতে হতে পারে।
- অনলাইনের মাধ্যমে কাজ করার সুবিধার্থে ল্যাপটপ বা ডেস্কটপ কম্পিউটার এবং নিরবিচ্ছিন্ন ইন্টারনেট সুবিধা থাকা উচিত।
- স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে কাজ করার মানসিকতা থাকতে হবে।
- কিশোর কিশোরীদের সমস্যা বুঝতে চাওয়ার ইচ্ছা এবং সাহায্য করার ইচ্ছা থাকতে হবে।
- গুছিয়ে কথা বলার দক্ষতা থাকা উচিত।
- অন্যের কথা মনোযোগ দিয়ে শোনার আগ্রহ থাকতে হবে।
- চ্যাট ও কল এর মাধ্যমে ভিকটিমদের মানসিকভাবে সহযোগিতা করা।
- মেন্টাল হেলথ বা মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক সোশ্যাল মিডিয়া পোষ্ট ও ব্লগ কনটেন্ট তৈরী।
- সাইবার টিনস কতৃক গৃহীত মেন্টাল হেলথ বা মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক যেকোনো প্রজেক্টের কার্যক্রম সম্পাদন।
- আন্তর্জাতিক শিশু শান্তি পুরষ্কার প্রাপ্ত একটি প্রতিষ্ঠানের সাথে কাজ করার মাধ্যমে বাংলাদেশের সাইবার বুলিং ও সাইবার হ্যারাজমেন্ট রোধে ভূমিকা রাখার সুযোগ।
- দেশের ৬৪ জেলায় আমাদের সাথে যুক্ত মেধাবী কিশোর-কিশোরীদের সাথে নেটওয়ার্কিং এর সুযোগ।
- টিমওয়ার্ক, কমিউনিকেশন এবং অন্যান্য সফট স্কিলে নিজেকে পারদর্শী করার সুযোগ।
- কাজের আগ্রহের উপর ভিত্তি করে সাইবার টিনস এর অন্যান্য ডিপার্টমেন্ট এ কাজ করার সুযোগ।
- সাইবার বুলিং এর মত বড় একটি সমস্যা সমাধানে একজন যোদ্ধা হিসাবে কাজ করতে পারবেন।
- দেশের বিভিন্ন প্রান্তের উদ্যমী তরুন তরুণীদের সাথে পরিচয় হতে পারবেন।
- নিজের নতুন একটি পরিচয় হবে ও নতুন মানুষদের সাথে বন্ধত্ব হবে।
- ব্যক্তিগত এবং পেশাদার কাজের জন্য নতুন দক্ষতা তৈরি হবে।
- ইতিবাচক কাজ করে সমাজ পরিবর্তনে ভূমিকা রাখতে পারবেন।