![Banner](https://cyberteensblog.com/wp-content/plugins/trx_addons/components/lazy-load/images/placeholder.png)
![](https://cyberteensblog.com/wp-content/plugins/trx_addons/components/lazy-load/images/placeholder.png)
“প্যারেন্টাল কন্ট্রোল: শিশুর ইন্টারনেট ব্যবহারে সুরক্ষা বনাম স্বাধীনতা ।”
প্যারেন্টাল কন্ট্রোল বা অভিভাবকগণের নিয়ন্ত্রণে কম্পিউটার, স্মার্টফোন এবং ইন্টারনেটের ব্যবহারে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রয়োজনীয়তা। বিশেষত আধুনিক প্যারেন্টস এই কন্ট্রোলের মাধ্যমে তাদের শিশুদের ইন্টারনেট ব্যবহার নিয়ন্ত্রণে রাখতে চান এবং নিশ্চিত করতে চান যে তারা যেনো নিরাপদভাবে অনলাইনে বিচরণ করতে পারে। প্যারেন্টাল কন্ট্রোলের মাধ্যমে অভিভাবকরা তাদের শিশুদের ইন্টারনেট ব্যবহারের সময়, সাইট, এবং সেবা নির্বাচন করতে সক্ষম হয়ে থাকেন। তাদের অনুমতি ছাড়া শিশুরা নিজেদের ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, এবং অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে অ্যাক্সেস নিতে পারেনা। এছাড়া এটির একটি অন্যতম প্রয়োজনীয় বৈশিষ্ট্য হল স্ক্রিন টাইম নিরীক্ষণ। এটি অভিভাবকগণকে তাদের শিশুদের স্ক্রিন সময় নিরীক্ষণ করতে সাহায্য করে। প্রয়োজনীয় পাঠ্যক্রম এবং বিনোদনের জন্য স্ক্রিনের সময়টি সীমাবদ্ধ করা যায়। এটি ক্র্যাশ সাইট এবং অন্যান্য অনুমতি নিষ্ক্রিয় করে থাকে যাতে অনুমতি ছাড়া শিশুরা অসুরক্ষিত অনলাইন পরিষেবা অ্যাক্সেস করতে না পারেন। তবে, প্যারেন্টাল কন্ট্রোল একটি বিতর্কিত বিষয়ও বটে। একদিকে এটি শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা নিশ্চিত করে, আর অন্যদিকে এটি তাদের স্বাধীনতা এবং ব্যক্তিগত বিকাশের সীমানা রূপান্তর করতে পারে। যখন সীমাবদ্ধতা ও নিয়ন্ত্রণ মাত্রাতিরিক্ত হয়, তখন এটি শিক্ষার্থীদের আত্মবিশ্বাস এবং ব্যক্তিগত বিকাশের উপর প্রভাব ফেলতে পারে। তাই, আমাদের যেকোনো প্যারেন্টাল কন্ট্রোল অ্যাপ ব্যবহার করার আগে সুনির্দিষ্টভাবে বিবেচনা করতে হবে যে এটি শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিগত বিকাশ এবং স্বাধীনতা বজায় রাখার দিকে কেমন প্রভাব ফেলবে। অভিভাবকেরা যেনো তাদের শিশুদের ডিজিটাল জীবনে নিরাপত্তার পাশাপাশি তাদের প্রয়োজনীয় স্বাধীনতা উপভোগ করতে পারে এ বিষয়ে নিশ্চিত করতে হবে।